গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি

 


ইসরায়েলিদের অব্যাহত ও নির্বিচার বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৪ দিন ধরে গাজাকে লক্ষ্য করে বিরতিহীনভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুর নতুন সংখ্যা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই হলো ১ হাজার ৬৬১ জন।

এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় ১৩ হাজার ২৬০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, গাজায় বর্তমানে ৪ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।


গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামাস হামলা চালানোর পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, তাদের সেনারা গাজায় যে হারে হামলা চালাচ্ছে, এমন তীব্র হামলা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি।

তিনি বলেছেন, ‘বিমানবাহিনীর যুদ্ধ যন্ত্র খুব ভালো কাজ করছে। বিমানবাহিনী সাউদার্ন কমান্ড, স্থল আর্ম, গোয়েন্দা দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। এটি প্রশংসনীয়।’

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করছে, গাজায় হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে তাদের এসব নির্বিচার হামলায় বেসামরিক মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেটি প্রমাণিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যুর মাধ্যমে।

ইসরায়েলের এই অব্যাহত বোমা হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না মসজিদ, গির্জা, বাড়ি-ঘর কোনো কিছুই।

গাজায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ইসরায়েলি হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে।


গাজার আবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ আবাসন ধ্বংস হয়েছে। ১২ হাজার ৮৪৫টি বাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯ হাজার ৫৫টি বাড়ি বসবাসের অযোগ্য। আর হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার বাড়ি।

প্রতিবেদন অনুসারে, বোমা হামলায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ জাতিসংঘ-নির্ধারিত ১৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

গাজায় কমপক্ষে ২০৩ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নিহত হয়েছেন৷